Lal Nil Dipabali PDF বাংলা বই। লাল নীল দীপাবলি PDF – হুমায়ুন আজাদ এর লেখা একটি বাংলা কিশোরসাহিত্য বই। এটি হুমায়ুন আজাদ লেখা একটি জনপ্রিয় কিশোর সাহিত্য বই এবং বইটিতে মোট ১৪৪ পাতা রয়েছে। লাল নীল দীপাবলি বইটির PDF আমরা সংগ্রহ করেছি যার সাইজ মাত্র ১০ এমবি। বইটি বাংলা একাডেমী, আগামী প্রকাশনী প্রথম ১৯৯৬ সালে প্রকাশ করে। আপনাদের সুবিধার্থে আমরা বইটির পিডিএফ ফাইল লিংক নিচে শেয়ার করলাম যা থেকে আপনারা বইটি পড়তে এবং ডাউনলোড করতে পারবেন।
কিছু কথাঃ হাজার বছর আগে আমাদের প্রধান কবি, কাহ্নপাদ, বলেছিলেন: নগর বাহিরেঁ ডোম্বি গোহারি কুড়িআ। তাঁর মতো কবিতা লিখেছিলেন আরো অনেক কবি। তাঁদের নামগুলো আজ রহস্যের মতো লাগে: কুইপা, কুক্কুরীপা, বিরুআপা, ভুসুকুপা, শবরপার মতো সুদূর রহস্যময় ওই কবিদের নাম। তারপর কেটে গেছে হাজার বছর, দেখা দিয়েছে অজস্র কবি, ঔপন্যাসিক, প্রাবন্ধিক, নাট্যকার, গল্পকার। তাঁরা সবাই মিলে সৃষ্টি করেছেন আমাদের অসাধারণ বাঙলা সাহিত্য। বাঙলা সাহিত্য চিরকাল একরকম থাকে নি, কালে কালে বদল ঘটেছে তার রূপের, তার হৃদয়ের। সৃষ্টি হয়েছে নতুন নতুন সৌন্দর্য। মধ্যযুগের কবিরা লিখেছেন পদাবলি, লিখেছেন মঙ্গলকাব্য্ উনিশশতকে বাঙলা সাহিত্য হয়ে ওঠে অপরূপ অভিনব। তখন কবিতায় ভরপুর বাঙলা সাহিত্যে দেখা দেয় গদ্য, বাঙলা সহিত্য হয়ে ওঠে ব্যাপক ও বিশ্বসাহিত্য। বিশশতকের বাঙলা সাহিত্যের শোভার কোনো শেষ নেই। বাঙলা সাহিত্যের অনেক ইতিহাস লেখা হয়েছে, আর কবি হুমায়ুন আজাদ বাঙলা সাহিত্য নিয়ে লিখেছেন লাল নীল দীপাবলি বা বাঙলা সাহিত্যের জীবনী, যা শুধু বাঙলা সাহিত্যের ইতিহাস নয়, এটি নিজেই এক সাহিত্য সৃষ্ট্ কবি হুমায়ুন আজাদ হাজার বছরের বাঙলা সাহিত্যকে তুলে ধরেছেন কবিতার মতো, জ্বেলে দিয়েছেন বাঙলা সাহিত্যের নানান রঙের দীপাবলি। এ-বই কিশোরকিশোরীদের তরুণতরুণীদের জন্যে লেখা, তারা সুখ পেয়ে আসছে এ-বই প’ড়ে, জানতে পারছে তাদের সাহিত্যের ইতিহাস; এবং এ-বই সুখ দিয়ে আসছে বড়দেরও। লাল নীল দীপাবলি বা বাঙলা সাহিত্যের জীবনী এমন বই, যার সঙ্গী হ’তে পারে ছোটোরা, বড়োরা, যারা ভালবাসে বাঙলা সাহিত্যকে। বাঙলার প্রতিটি ঘরে আলো দিতে পারে এ-বই।
হুমায়ুন আজাদ একজন বাংলাদেশি কবি, ঔপন্যাসিক, ভাষাবিজ্ঞানী, সমালোচক, রাজনীতিক ভাষ্যকার, কিশোরসাহিত্যিক, গবেষক, এবং অধ্যাপক ছিলেন। তিনি বাংলাদেশের অন্যতম প্রথাবিরোধী এবং বহুমাত্রিক লেখক যিনি ধর্ম, মৌলবাদ, প্রতিষ্ঠান ও সংস্কারবিরোধিতা, যৌনতা, নারীবাদ ও রাজনীতি বিষয়ে তার বক্তব্যের জন্য ১৯৮০-এর দশক থেকে পাঠকগোষ্ঠীর দৃষ্টি আর্কষণ করতে সক্ষম হয়েছিলেন। হুমায়ুন আজাদ ২৮ এপ্রিল ১৯৪৭ সালে তার মাতামহের বাড়ি, তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের অধীন বিক্রমপুরের কামারগাঁয় জন্ম নেন, যেটি বর্তমানে মুন্সিগঞ্জ জেলার শ্রীনগর উপজেলার অন্তর্গত। তার জন্ম নাম ছিল হুমায়ুন কবীর। ১৯৮৮ সালে ২৮ সেপ্টেম্বর নাম পরিবর্তনের মাধ্যম তিনি বর্তমান নাম ধারণ করেন। হুমায়ুন আজাদের কবিতার মাধ্যমে সাহিত্যচর্চার শুরু হয়েছিলো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হবার পর তবে বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণীতে থাকাকালীন। হুমায়ুন আজাদের ৭টি কাব্যগ্রন্থ, ১২টি উপন্যাস ও ২২টি সমালোচনা গ্রন্থ, ৭টি ভাষাবিজ্ঞানবিষয়ক, ৮টি কিশোরসাহিত্য ও অন্যান্য প্রবন্ধসংকলন মিলিয়ে ৬০টিরও অধিক গ্রন্থ তার জীবদ্দশায় এবং মৃত্যু পরবর্তী সময়ে প্রকাশিত হয়। ২০০৪ খ্রিষ্টাব্দের ১১ আগস্ট রাতে একটি অনুষ্ঠান থেকে প্রত্যাবর্তনের পর আবাসস্থলে আকস্মিকভাবে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন হুমায়ুন আজাদ।
Comments